এসএম তাজাম্মুল,মণিরামপুর প্রতিনিধি: যশোরের মণিরামপুর উপজেলার ১৪নং দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নের শ্যামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম প্রহরী মোঃ আতাউর রহমানের পক্ষে থাকা বিজ্ঞ আদালতের রায়কে অবমাননা করে পুনরায় চাকরিতে বহাল না করার অভিযোগ উঠেছে।পাশাপাশি ঐ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বহিরাগত কিছু লোক এবং স্থানীয় লোকদের সাথে নিয়ে অর্থের বিনিময়ে আতাউরের বিপক্ষে মানববন্ধন করেছে বলে জানাগেছে।

উল্লেখ্য, বিগত ২০২১ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মনিরামপুর উপজেলার দূর্বাডাংগা ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামের আলী মুনসুরের ছেলে ও ঐ প্রতিষ্ঠানের দপ্তরী কাম প্রহরী মোঃ আতাউর রহমানকে আসামি করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতির এক আত্বীয় একই গ্রামের ফাতেমা খাতুন নামে এক নারী।ঘটনার পরেই অভিযুক্ত আতাউরকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলামের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিনা নোটিশে চাকরীচ্যুত করেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষিকা রুবিনা ইয়াসমিন।
ওই মামলায় আতাউর বেকসুর খালাস পেয়ে চাকরী ফিরে পেতে ও ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য আদালতের স্বরনাপন্য হন। সমস্থ সাক্ষ্য গ্রহনের পর বিজ্ঞ আদালত গত ১০/০৪/২৩ইং তারিখে মোঃ আতাউর রহমানকে তার চাকরীতে পুনঃবহালের জন্য আদেশ জারী করেন।
এদিকে অত্র বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অমিত দাস ও প্রধান শিক্ষিকা রুবিনা ইয়াসমিনের নেতৃত্বে কমিটির একাংশ আদালতের মাধ্যমে পুনঃবহাল পাওয়া আতাউরকে চাকরিতে যোগদান না দিতে বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মোঃ আতাউর রহমান জানান,গত ২মাস আগে বিজ্ঞ আদালত আমাকে ঐ প্রতিষ্ঠানে দপ্তরী কাম প্রহরী পদে পুনঃবহালের আদেশ দেন।আমি গত ১৮/০৪/২৩ইং তারিখে আদালতের পুনঃবহাল পত্র হাতে পেয়ে প্রতিষ্ঠানে গেলে আমাকে যোগদান করতে না দিয়ে নানা রকম ছলচাতুরী করতে থাকে। এমন অবস্থায় আমি প্রতিষ্ঠান সভাপতি অমিত দাসের কাছে গেলে তিনি আদালতের রায়কে অবমাননা করে বলেন-এ ব্যাপারে আমার কিছু করার নাই,আমি আদালতের রায় মানিনা,আপনাকে আমি পুনঃবহাল করতে পারবো না। আতাউর আরো বলেন,আমি আইনের প্রতি সন্মান প্রদর্শন করে বলতে চাই আপনারা বিষয়টি খতিয়ে দেখুন,আমি মানবেতর জীবন যাপন করছি।
এ বিষয়ে শ্যামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (পিটিএ) কমিটির সদস্য আতাউর গাজী বলেন, স্থানীয় বিএনপির ক্যাডার মনিরুল ইসলাম স্কুল ম্যানেজিং কমিটির একাংশকে সাথে নিয়ে চাপ প্রয়োগ করে আমার কাছ থেকে দপ্তরী আতাউরের বিপক্ষে বক্তব্য নেই। আমার জানামতে ৩০/৪০জন বহিরাগত লোক মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলো।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মণিরামপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার ইয়াসমিন আরা মুঠোফোনে জানান,আমি দপ্তরী আতাউরের পক্ষে আদালতের আদেশনামা হাতে পেয়েছি ও ঐ প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করেছি। ব্যস্ততার কারনে উনাদের ডাকতে পারিনি,২/৩দিনের ভিতরে সবাইকে ডেকে কথা বলব।